কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
আজকের এই আর্টিকেল এ আমরা জানবো কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কলমি শাক একটি আঁশ জাতীয় খাদ্য যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান। এটি সাধারণত দেখা যায় গ্রামের জমি খাল ডোবা ইত্যাদিতে। বাজারে কলমি শাকের দাম কম হলো এর উপকারিতা রয়েছে অনেক।
তুমি শাকের উপকারিতা ও অপকারি তা না হলে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন নাতা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি ধৈর্যের সহকারে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কলমি সাজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেটা আমাদের চোখের সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর। এর পাশাপাশি এটি আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তবে এর কিছু কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক ও আছে। কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক গুলো আমরা নিচে সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃকলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
- কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
- কলমি শাকের উপকারিতা
- কলমি শাকের অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
- কলমি শাকের রস খেলে কি হয়?
- টবে কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
- কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
- কলমি শাকের পুষ্টিগুন
- লেখকের শেষ মন্তব্য
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আমরা সকলে
জানি কলমি শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তবে কর্মের স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী হলেও এর কিছু ক্ষতিকারক দিক থাকতে পারে যেমন অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটের
সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার যদি কারো থাইরয়েডের সমস্যা থাকে। তাহলে কলমি শাক
খাওয়া তার জন্য উচিত না।আবার কলমি শাক বিভিন্ন জায়গায় দূষিত পানিতে জন্মায় ।
যার কারণে ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী থাকতে পারে।এর জন্য এটি খাওয়ার
আগে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এবং সঠিক নিয়মে রান্না করতে হবে।
অতিরিক্ত পরিমাণে কর্মী শাক খেলে হালকা গ্যাস্ট্রিকের মতো পেটের সমস্যা দেখা দিতে
পারে।কর্মীর সাথে উচ্চমাত্রার অক্সালেট থাকে যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই
ক্ষতিকর। কলমি শাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো মূলত এর জন্মগত কিছু বৈশিষ্ট্য এবং
সঠিকভাবে প্রস্তুত না করার কারণে হয়ে থাকে।
কিডনিতে পাথরের ঝুকিয়ে একসিলিক এসিড নামক একটি প্রকৃতির যোগের পরিমাণ বেশি থাকে।
এইশাক আমাদের শরীরে থাকা অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সাথে
মিলে অক্সালেট crystals তৈরি করে। কিন্তু যখন এগুলি জমাট বাঁধতে
শুরু করে তখন কিডনিতে পাথর ফর মেনিং হয় যাদের পরিবারে কিডনিতে পাথরের
ইতিহাস আছে অথবা যারা ইতিমধ্যে এই সমস্যায় ভুগছেন। তাদের জন্য কলমি শাক বেশি
পরিমাণ খাওয়ার ঝুকিপূর্ণ হতে পারে।আবার কলমি শাক এর সবচেয়ে বড় সমস্যা এর
জন্মস্থান।
এটি সাধারণত পুকুর, খাল,বিল বা জমিতে জন্মায়। জায়গার শিল্পিকারখানা
বা গৃহস্থলীর বর্জ্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক মলমূত্রের দূষণ থাকতে পারে। কলমি শাক
তার পাতা ও ডাটার মাধ্যমে সেই দূষিত পানি ও মাটি থেকে শক্তি যোগায় বেঁচে
থাকার জন্য। এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে , বার পেটের গোলযোগ টাইফয়েড সম্ভাবনা থাকে।
কলমি শাক অস্বীকার করার কিছুই নেই।
কিন্তু এর সম্ভাব্য ক্ষতিকারক দিকের সম্পর্কে সচেতন হওয়াটাও জরুরী। উপায়
সাতটি খেলা গরম পানির লবণ মিশিয়ে এবং সিদ্ধ করে রান্না করা যায়। যাদের খুব
সমস্যা আছে তাদের উচিত ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী হওয়া এই
শাক খাওয়া।অতিরিক্ত পরিমাণের অক্সালেট আমাদের কিডনিতে পাথর তৈরি করার একটি
রিস্ক বাড়াতে পারে।আমরা সকলে জানি যে কলমি শাক বিভিন্ন জায়গায় দূষিত পানিতে
জন্ম হয় এ জন্য এদের গায়ে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া ও অনুজীবী থাকে যার
কারণে রান্নার সময় আমাদের ভালোভাবে ধুয়ে সঠিক নিয়ম রান্না করতে হবে।
কলমি শাকের উপকারিতা
কলমি শাকের উপকারিতা রয়েছে অনেক আজকে আমরা এই আর্টিকেলে জানব কলমি শাকের সব
উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের খাদ্য তালিকার অনেকের পছন্দের খাবার একটি হল কলমি
শাক যেটা আমাদের অনেকের কাছে খুব পছন্দের একটি খাবার কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা
এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো কলমি শাকে ক্যালরি খুব কম কিন্তু এতে
ভিটামিন মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকেএটিতে আরো দেখা যায়।
ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, আইরন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। কলমি শাক আয়রনের খুবই ভালো একটি উৎস এটি রক্তের
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে।বৈজ্ঞানিক কিছু
গবেষণায় দেখা গেছে যে কলমি শাক রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে যেটা আমাদের
মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। কলমি শাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ড্যামেজ
থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা আরো বাড়াতে সহায়তা করে।
কলমি শাক লো ক্যালরিযুক্ত খাবার যার কারণে এটি আমাদের শরীরের ওজন কমাতে
সহায়তা করে। তাই আমাদের নিয়মিত কলমি শাক খাওয়া উচিত। আমরা অনেকে এতদিন
জানতাম না যে কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য এতটা উপকারী এবং আমাদের শরীরে এত
ধরনের সমস্যার সমাধান করে। আজকে সবকিছু আমরা জেনে গেছি তো আমাদের সকলের উচিত
নিয়মিত খাওয়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার জন্য।
কলমি শাকের অপকারিতা
কলমি শাকের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো এখন আমরা। এর আগে আমরা জেনেছি
কলমি শাকের বিভিন্ন ধরনের উপকার সম্পর্কে। যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সাধন করে। এখন আমরা জানবো
যে কলমি শাকের কোন কোন অপকারিতা রয়েছে অর্থাৎ খারাপ দিকগুলো।
আমরা সকলে জানি যে কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী তবে এটি অতিরিক্ত
খাওয়ার অথবা অসচেতন ভাবে অপরিষ্কারভাবে খাবারের ফলে বিভিন্ন ধরনের কলমি
শাকের ক্ষতিকর দিক আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। যেমন
ধরেন আমরা সকলে জানি যে কলমি শাক সাধারণত দূষিত পানিতে জন্মে থাকে যার জন্য
আমাদের রান্নার পূর্বে অবশ্যই ভালো হবে পরিষ্কার করতে হবে।
কেননা দূষিত পানিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী থাকে যেগুলো
আমাদের শরীরের ঢুকলে আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যার কারণে
আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে করে। সে ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী গুলো
আমাদের শরীরে না ঢুকতে পারে এবং আমাদের শরীরে কোন ধরনের সমস্যা না করতে পারে।
এ বিষয়ে আমাদের সকলের থাকতে হবে।
আমরা উপরে একটা কথা জেনে এসেছি যে কলমি শাক বেশি খেলে আমাদের কিডনিতে পাথর
হওয়ার একটা রিস্ক থাকে। যেটা একটি ভয়াবহ সমস্যা বলে ধরা হয়। বাজার থেকে
কলমি শাক কেনার সময় অবশ্যই ভালোভাবে দেখে সাবধান না সই কিনতে হবে। কলমি শাক
ভিটামিন কে এর একটি ভালো উৎস যেটা আমাদের শরীরের রক্তকে জমাট বাঁধাতে সাহায্য
করে।
আবার কিসের সংখ্যক মানুষের দেখা যায় এলার্জি থাকে। তাদের কল মি শাক থেকে
বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ কল মি শাক তাদের খুব কম পরিমাণে খেতে হবে। একটি
স্বাস্থ্যকর খাবার এটি তবে এই বিষয়গুলোর ওপর সচেতন থেকে আপনি নিয়মিত
পর্যাপ্ত পরিমাণে কলমি শাক খেতে পারেন কেননা এটি আমাদের এবং স্বাস্থ্যের
জন্যই উপকারী।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয় ? কলমি শাক আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি
খাবার জেতা গ্রাম গঞ্জে বেশি দেখা যায়। গর্ব অবস্থায় এটি খাওয়া যায় কিনা তা
নিয়ে একটু পরিষ্কার করে ধারনা করে দিচ্ছি নেচে আপনারা এই সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পারবেন। যে গর্ব অবস্থায় কল মি শাক খাওয়া যাবে যাবে না অর্থাৎ খাওয়া
গেলে কি উপকারিতা গুলো রয়েছে সেসব সম্পর্কে বলবো।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা দূর করে এবং শিশুর মস্তিষ্ক
স্নায়ুর গঠন ভালো রাখতে সাহায্য করে। যেটা একজন গর্ব অবস্থায় মহিলার জন্য
খুবই জরুরী। এটিতে ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম আছে যেটা শিশুর হাড় দাঁত ও দৃষ্টি
শক্তির জন্য খুবই উপকারি। আবার এইগুলোর সাথে সাথে দেখা যায় ফাইবার আছে
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।
এটি নিয়মিত খাবারে ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা ও হালকা রাখতে সহায়তা করে। তবে এর
কিছু সতর্কতা রয়েছে সর্তকতা গুলো হলো আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে কলমি শাক
পানিতে জন্মায় পানিতে জন্মানোর ফলে এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া ও
পরজীবী থাকে যদি এটি আমরা পরিষ্কার করে অনুসারে রান্না না করে খাওয়াই
তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনকি ব্যাকটেরিয়া এগুলো শরীরে চলে গেলে শিশুর বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে
পারে। যার জন্য আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়টির উপর খেয়াল রাখা। আশা করি আপনি
এখন বুঝতে পারছেন যে কলমি শাক একজন গর্ব অবস্থায় নারী খাওয়া উচিত কি খাওয়া
উচিত না। অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে একজন গর্ব অবস্থায় নারীকে কলমি শাক
খাওয়াবেন।
কলমি শাকের রস খেলে কি হয়?
কলমি শাকের রস খেলে কি হয়? তো চলুন আজকে আমরা জানি যে কলমি শাকে রস খেলে কি
হয় ইতিমধ্যে আমরা জেনে গেছি যে কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য অনেকটা উপকারী।
তবে এর রস কি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এ বিষয়টি জানবো এখন আমরা। তো চলুন
সময় নষ্ট না করে কলমি শাকের রস বিস্তারিত আলোচনা করি।কলমি শাকের রস খাওয়ার
ফলে যুক্তিতে কার্যকারিতা ভালো রাখে এবং এটি লিভারের জন্য উপকারী বলে ধরা।
বাংলার মাটি ও মানুষের সাথে যে কয়টি সবুজ শাকসবজির নাম জড়িয়ে আছে তার
মধ্যে কলমি সব অন্যতম। এই সাতটি শুধু ভাজি বা তরকারি হিসেবে সুস্বাদু নয় , এর
কচি পাতা থেকে তৈরি করা হয়রত একটি আশ্চর্যকর প্রকৃতি ভেজস হিসাবে কাজ করে।
নিয়মিত কলমি শাকের রস পান করলে শরীরের যে কোন ক্ষতিকারক জীবাণু নষ্ট হয়ে
যায়। এবং শরীরের পরিবর্তন গুলি ঘটায় অকল্পনীয় ভাবে। কলমি শাকের তাজা ও
কচি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারে অল্প পানি দিয়ে মিশিয়ে
নিন।
একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে স্বাদ একটু লাগবে অল্প এক চিমটি লবণ দিন এক চা চামচ
মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। কলমি শাকের রস খুব সস্তা , কিন্তু এটি
প্রকৃতির স্বাস্থ্য উপাদান এবং শক্তিশীল করে। এটি আপনার প্রতিদিনের রুটিনে করে
খেতে পারেন। এক অমূল্য প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য বীমা, আজ এই বাজার থেকে এক বাটি
কলমি শাক কিনে আনুন এবং এর রস তৈরি করে খান।
হয় এবং এর পাশাপাশি টেনিক্স দূর করতে সহায়তা করে। এটা আমাদের হজম শক্তি
বৃদ্ধি করে হালকা চুলের মতো কাজ করে কঠোর কণিকা দূর করতে সহায়তা করে। উপরে
আমরা পরে এসেছি যে কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যেটা আমাদের
শরীরের রোগ সংক্রামণ থেকে রক্ষা করে।নিয়মিত কলমি শাকের রস খেলে আমাদের রক্ত
পরিষ্কার রাখে রক্তের ভিতর থাকা অপ্রয়োজনে টনিক্স বের করে এবং রক্ত পরিষ্কার
রাখে।
আমাদের সর্দি কাশি এবং জ্বর এর জন্য খুবই উপকারী কলমে শাক শরীর ঠান্ডা রাখতে
সহায়তা করেএবং চুল পড়া কমায়। কলমি শাকের রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
সহায়তা করে।প্রতিদিন নিয়মিত পরিমানে কর্মী শাক খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন
ধরনের উপকার রয়েছে যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে রক্তের
ভিতর থাকা বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ গুলোকে বের করে ফেলে এবং আমাদের শরীরকে
সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
টবে কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
টবে কলমি শাক চাষ পদ্ধতি অনেক কিছু নিয়ম রয়েছে এর মধ্যে আমরা টবে কলমি শাক
চাষ করা কয়েকটি নিয়ম সম্পর্কে জানব এবং কিভাবে চাষ করলে অধিক পরিমাণে ফলন
পাওয়া যায় এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তবে কর্মী শাকের চাষ করে
অনেক সহজ এবং স্বল্প সময়ে ফসল পাওয়া যায় কিভাবে এটি করা যায় এখন তা
সম্পর্কে জানব।মাঝারে আকারে একটি টব নিব যেটা নিচে একটু ছিদ্র করব যাতে
করে পানি গুলো বের হয়ে যেতে পারে এরপর মাঠি প্রস্তুত করতে হবে আমাদের।
মাটি প্রস্তুতে সময় ৬০% ধোঁয়াশ মাটি এর সাথে ৩০% গোবর সার এবং ১০% বাল্য
মিশিয়ে নিতে হবে আপনি চাইলে এর সাথে কিছু পরিমাণ ছাই মিস করতে পারেন।কলমি
শাকের বীজ অথবা কাটিং দিয়ে আপনি এটা চাষ করতে পারবেন অথবা তবে রোপণ করতে
পারবেন যদি আপনি বিচ দিয়ে রোপন করেন তাহলে আপনি বাজারে। কলমি শাকের বীজ খুব
সহজে পেয়ে যাবেন। যেখান থেকে আপনি কর্মী সাজিয়ে ব্রিজ কিনে নিয়ে এসে আপনার
টবে রোপন করতে পারবেন। এবার যত্ন নেবার পালা।
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক,আমরা তো সকলে জানি যে কলমি শাক পানিতে জন্মায় অর্থাৎ কলমি শাক পানি ভালোবাসে
যার জন্য আমাদের সবসময় চারাকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তবে তবে এটি করার সময় একটি
বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে তবে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি জমে না থাকে তাহলে
দেখা যাবে যে তারা গুলো পচে যাবে। এ বিষয়টি উপর একটু খেয়াল রাখতে হবে।
বীজ অথবা কাটিং রোপনের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শাক কাটার উপযোগী হয়ে যায়।
সময় ডগা থেকে পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি রেখে কেটে নিলে আবার নতুন ডাল গজাবে এবং
বারবার সংগ্রহ করতে পারবেন। এটি সূর্যর আলোকে রাখতে হবে এবং রাসায়নিক সার ও
কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভালো। ঘনঘন কাটলে শাকগুলো নরম হয়।
কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
কলমি শাক চাষ পদ্ধতি অনেকভাবে করা যায় যেমন টবে চাষ করা যায় আবার জমিতে চাষ
করা যায়। তবে চাষ পদ্ধতি আগে বলে দিয়েছি যার কারণে নতুনভাবে আর বললাম না
এটাতে শুধু কিভাবে জমিতে চাষ করা যায় সে পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করব। সাধারণত নরম মাটি অর্থাৎ আদ্রতা জমিতে চাষ করলে ভালো ফলন দেখা যায়।জমি
প্রস্তুত এর ক্ষেত্রে দোআশ অথবা বেলে মাটিতে এ ধরনের চাষগুলো আর অবশ্যই
আদ্রতা জমিতে এটি চাষ করতে হবে।
কেননা আমরা আগে জেনে এসেছে যে কলমি শাক নরম জমি অর্থাৎ ভেজে জমিতে বেশি
ভালো হয়। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যেন একদম পানির জমে না থাকে
তাহলে গাছগুলো নষ্ট হবে।এটি বীজ থেকে রোপন করা যায় এবং কাটিং থেকেও রোপন করা
যায়। বীজ থেকে রোপণ করার ক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে বীজ কিনে নিয়ে এসে জমিতে
ছিটিয়ে দিলে সেখান থেকে গাছ হয়ে যাবে। আর যদি আপনি চান কাটিং থেকে রোপন
করবেন।
তাহলে অন্য একটি গাছের ডাল নিয়ে এসে মাটিতে রোপন করলে সেখান থেকে পুরোপুরি গাছ
রোপন হয়ে যাবে।এটি সাধারণত রোপন করা ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে কাটার উপযোগী হয়ে
যায়। কাটার সময় যদি আপনি ডগা থেকে পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি উপরে কাটেন তাহলে
সেখান থেকে আরো বেশি গাছ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে আপনার ফলন বৃদ্ধি হবে ও
স্বাস্থ্যকর সুস্বাস্থ্যকর সবজি আপনি পাবেন।
কলমি শাকের পুষ্টিগুন
কলমি শাকের পুষ্টিগুণ রয়েছে অনেক এটি আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে এবং এটি আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি এটিতে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যেটা আমাদের চোখের সমস্যা দূর করতে সহায়তা
করে। নিয়মিত কলমি শাক খাওয়ার ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং আমাদের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কর্মীর সাথে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি পানি কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফাইবার ফ্যাট
এগুলো থাকে যেগুলো আমাদের দৈনিন্দ্য জীবনের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এবং
কার্যকর। ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে। আবার ভিটামিন সি টপ সুন্দর রাখতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি ভিটামিন বি
কমপ্লেক্স যেটা আমাদের করেন শরীরের শক্তি উৎপাদন করেন।
এটা আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা সমস্যা থাকলে সেটি দূর করে এর পাশাপাশি হজম
শক্তি বৃদ্ধি করে। যদি চোখের সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রে কলমি শাক নিয়মিত খেলে
চোখের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি তক চুলের জন্য কলমি শাক অনেক
বেশি উপকারী। আবার একজন গর্ব অবস্থায় মহিলার জন্য কলমিশাক অত্যন্ত উপকারী সেটা
আমরা উপরের জেনে এসেছি আপনি উপরে সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বুঝতে
পারবেন।
এছাড়া কলমি শাকে ভিটামিন এ এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এটি চোখের স্বাস্থ্য
রক্ষায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং ত্বকের সজিবতা বজায় রাখতে অন্তত
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতাশক্তিশীল করতে ভিটামিন সি এর অনেক ভূমিকা পালন করে কলমি শাক এ ভিটামিনের
একটি ভালো উৎস, যা সর্দি কাশি সংক্রমণ ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
ক্যালসিয়াম আর ও দাঁতের গঠন এবং মজবুত করতে ক্যালসিয়াম অনেক ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া দুধ কলমি শাক ক্যালসিয়ামের একটি উল্লেখযোগ্য উদ্ভিজ্জ উৎস, যা হাড়ের
ভয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া
রক্তস্বল্পতা আয়রনের প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে কলমি শাকে
পর্যাপ্ত আয়রন থাকায় এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে
এবং দুর্বল ক্লান্তি দূর করে। কলমি শাক দিয়ে সাধারণত ভাজি, ভর্তা তরকারি
রান্না করে খাওয়া হয়। এটি শুটকি বা চিংড়ির সাথে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু
হয় তবে মনে রাখা দরকার কলমি শাক যেহেতু জলাব বা আদ্র জায়গায় জন্মায়।
আরো পড়ুনঃ
উইন্ডোজ ১০ -এর মোবাইল হটস্পটটি
তাই এটি খুব ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করা উচিত । যাতে কোন ধরনের ক্ষতিকারক
জীবাণু বা পরজীবী থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সুস্বাদু ও সুলভ এই শাস্তি
আমাদের দেশীয় একটি পুষ্টিকর সুপার ফুড। প্রকৃতি ভাবে উৎপন্ন হওয়ায় এর মধ্যে
কোনরকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের মিশ্রণ থাকে না। তাই নিয়মিত খাদ্য তালিকায়
কলমি শাক রাখলে শরীরের প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন ও খনিজ চাহিদা পূরণ
করা সম্ভব।
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক-লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকেরে আর্টিকেলে কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক এবং এর উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি এতক্ষণে বুঝে গেছেন কলমি শাক আমাদের কতটা
উপকারী এবং কোথায় কোথায় এটি আমাদের ক্ষতি করে। কলমি শাকের ক্ষতিকারক
দিক গুলো নিয়ে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখকের শেষ মন্তব্যে উঠে এসে একটি সক্ষম বক্তব্য হল যে কোন জিনিসেরই ভালো-মন্দ আছে তা যেন সঠিক পরিমাণে ও সঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়।
এই উত্তরটি কলমি শাকের প্রসঙ্গে অন্তত প্রসঙ্গীত। কলমি শাকের প্রধান ক্ষতিকারক দিকটি গুলো জন্মস্থান ও পরিবেশের সাথে। এটি সাধারন পানি বা কাঁদাযুক্ত নালা নর্দমার পাশে বা চাষের খালে জন্মায়। এই পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের তোর সুখ ভারী ধাতু এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। যদি দূষিত জায়গার সংগ্রহ করা কলমি শাক সঠিকভাবে পরিষ্কার ও প্রস্তুত না করা হয় তবে এটি মানব দেহে বিভিন্ন রোগবালায় পেটের পিরা এমনকি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
কলমি শাক একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার কিন্তু এর উপকারিতা তখনই ভোগ করা যাব।যখন এটি সচেতন ভাবে বেছে নেওয়া হবে। পরিষ্কার করা হবে এবং সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় এই নীতি কে ধারণ করে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চললে কলমি শাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো থেকে সহজেই দূরে থাকা সম্ভব এবং এর গুনাগুন সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানো যায়।
এটি প্রকৃতির একটি উপহার যা জ্ঞানের সাথে ব্যবহার করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অমূল্য হয়ে উঠতে পারে।যদি আপনার এ আর্টিকেলটি পড়ার পর কোথাও কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয় অথবা যদি
আরো কোন তথ্য আপনি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যোগাযোগ পেজে আমাদের
সাথে যোগাযোগ করার, সকল ধরনের মাধ্যম দেওয়া আছে আপনি সেখান থেকে আমাদের সাথে
সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।
সফটনড়িতে নীতিমালা ; মেনে ;কমেন্ট করুন ;প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;
comment url