উইন্ডোজ ১০ -এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়

 

উইন্ডোজ ১০ -এর মোবাইল হটস্পটটি ,আপনি কি উইন্ডোজ টেন -এর মোবাইল হটস্পট চালু করছেন, কিন্তু এটি কিছুক্ষণ পরপর নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? এটি একটি অত্যন্ত সাধারণ এবং বিরক্তিকর সমস্যা। আপনার ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করতে গিয়ে এই সমস্যায় পড়ে।

উইন্ডোজ টেন -এর -মোবাইল -হটস্পটটি -নিজে -নিজেই -বন্ধ -হয়ে -যায়

অনেক ব্যবহারকারীই বিব্রত বোধ করেন।চিন্তার কোন কারণ নেই। এই আর্টিকেলটিতে আমরা এই সমস্যার পিছনে থাকা প্রধান কারণগুলি এবং তার সহজ ও কার্যকরী সমাধানগুলি স্টেপ বাই স্টেপ বাংলায় আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ উইন্ডোজ ১০ -এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়

একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যা

উইন্ডোজ ১০-এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়। উইন্ডোজ -এর মোবাইল হটস্পট ফিচারটি একটি অসাধারণ ইউটিলিটি যা আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপকে একটি ওয়াই-ফাই রাউটারে রূপান্তরিত করে। এটি সেই সময়ে একটি জীবনরক্ষাকারী যখন আপনার প্রধান ইন্টারনেট সংযোগটি ব্যর্থ হয়, আপনি ভ্রমণ করছেন, বা শুধুমাত্র আপনার ফোন বা ট্যাবলেটে একটি দ্রুত নেটওয়ার্ক শেয়ার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সুবিধাটি তখনই একটি বিরক্তির পরিণত হয় যখন হটস্পটটি কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়।

উইন্ডোজ -এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়– এটি একটি খুব সাধারণ অনুসন্ধান প্রশ্ন, এবং আপনি একা নন যিনি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এটি শুধু যেই তৈরি করে না, এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, অনলাইন মিটিং, বা স্ট্রিমিংকে বিঘ্নিত করতে পারে। এই বিস্তৃত গাইডে, আমরা এই সমস্যাটির পিছনে থাকা সম্ভাব্য সমস্ত কারণগুলি নিয়ে আলোচনা করব এবং আপনার সিস্টেমে স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার জন্য ধাপে ধাপে সমাধানগুলি প্রদান করব।

উইন্ডোজ টেন হটস্পট কেন বারবার বন্ধ হয়? মূল কারণগুলো

সমস্যাটি সমাধান করার আগে এর উৎপত্তি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। উইন্ডোজ ১০-এর মোবাইল হটস্পটটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বন্ধ হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ থাকতে পারে:
পাওয়ার সেভিং ফিচারঃএটি সবচেয়ে সাধারণ অপরাধী। উইন্ডোজ এবং নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারের ড্রাইভারগুলি শক্তি সংরক্ষণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যদি সিস্টেম মনে করে যে ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টারটি "অলস" হয়ে পড়েছে (এমনকি এটি হটস্পট চালাচ্ছে), এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাডাপ্টারটি বন্ধ করে দিতে পারে।
সামঞ্জস্যহীন বা পুরনো নেটওয়ার্ক ড্রাইভারঃ আপনার ওয়াইফাই বা ইথারনেট অ্যাডাপ্টারের জন্য পুরনো, ত্রুটিপূর্ণ বা অসমর্থিত ড্রাইভারগুলি হটস্পট ফিচারের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে এটি ক্র্যাশ হয় বা বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যাটারি সেভার মোডঃ যখন আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি একটি নির্দিষ্ট স্তরের নিচে নেমে যায়  ২০%), উইন্ডোজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারি সেভার মোড সক্রিয় করে, যা পটেনশিয়ালি হটস্পট সহ পটেনশিয়ালি অ-প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলিকে সীমাবদ্ধ বা বন্ধ করে দেয়।
হার্ডওয়ারের সমস্যাঃবিরল ক্ষেত্রে, অন্তর্নিহিত ওয়াইফাই অ্যাডা তোমারপ্টার সেলফি টির একটি হার্ডওয়্যার সমস্যা থাকতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদী অপারেশনকে বাধা দেয়।
নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন দ্বন্দ্বঃ আইপি অ্যাড্রেস বা ডি এল এস-এর মতো নেটওয়ার্ক সেটিংসের একটি দ্বন্দ্ব হটস্পটের স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করতে পারে।
গ্রুপ পলিসি বা থার্ড-পার্টি সফ্টওয়্যারঃকর্পোরেট পরিবেশে, গ্রুপ পলিসি সেটিংস নেটওয়ার্কিং ক্ষমতাগুলিকে সীমিত করতে পারে। অ্যান্টিভাইরাস বা ফায়ারওয়াল প্রোগ্রামগুলি হটস্পট সংযোগকে ব্লক করতে পারে।

নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার রিসেট করুন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট সংযোগ একটি অপরিহার্য উপাদান। উইন্ডোজ ১০ -এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে এই সংযোগ বিঘ্ন ঘটে, যেমন ইন্টারনেট স্থির গতি হওয়া , নেটওয়ার্ক এডাপ্টার কাজ না কর্‌ ওয়াইফাই বা এল এ এন কানেকশন হওয়া, অথবা ডি এন এস সম্পর্কিত জটিলতা দেখা দেওয়া। এই ধরনের সমস্যাগুলো একটি আরেকটি অন্তত শক্তিশালী সমাধান হল নেটওয়ার্ক এডাপ্টার রিসেট করা।

নেটওয়ার্ক এডাপ্টার রিসেট কি?
নেটওয়ার্ক এডাপ্টার রিসেট হল আপনার উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সমস্ত নেটওয়ার্ক রিলেটিভ সেটিং কে তাদের ডিফল্ট অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া একটি প্রক্রিয়া। এটি আপনার কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক কনফিগারেশনের জমা থাকা বিভিন্ন সফটওয়্যার এর লেভেল ফুল কনফিগারেশন বা কর্পোরেট সেটিং কে সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করে। এটি করার মাধ্যমে আপনার সিস্টেম নেটওয়ার্ক ড্রাইভার গুলিকে পুনরায় ইন্সটল করে এবং সমস্ত নেটওয়ার্ক -কে তাদের মূল স্টেটে ফিরিয়ে আনে।

কেন এটি কার্যকর?
আপনার কম্পিউটার জটিল সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ারের সমন্বয়ে কাজ করে। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ইন্সটল/আনইন্সটলহওয়া,ড্রাইভার আপডেট হওয়া, বা সিস্টেম চেঞ্জ এর কারণে নেটওয়ার্ক সেটিং সে  সৃষ্টি হতে পারে। এই কনফিকেটগুলো ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার মূল কারণ। নেটওয়ার্ক রিসেটে জটিলতাগুলোকে মূল এড্রেস করে একটি ফ্রেশ স্টার নেওয়ার সুযোগ দেয় । যা  নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানের জন্য গুড স্ট্যান্ডেড পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারের ড্রাইভার আপডেট করুন

উইন্ডোজ ১০-এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায় ।আধুনিক কম্পিউটার বিশ্বে , একটি স্থিতিশীল ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ অপরিহার্য। নেটওয়ার্ক এডাপটার হল আপনার কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের মধ্য সেতু বন্ধন সৃষ্টিকারী সেই গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার উপাদান। এই হার্ডওয়ার টি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সফটওয়্যার। ড্রাইভার আপডেট করা হলো সেই সফটওয়্যারটিকে সর্বশেষ সংরক্ষণে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া, যা আপনার সংযোগের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ।

ড্রাইভার আপডেটঃ
ড্রাইভার গুলি মূলত আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়ারের মধ্যে কাজ করে। সময়ের সাথে সাথে মাইক্রোসফট এর হার্ড ওয়ার্ক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের ড্রাইভার গুলিতে নানা ধরনের উন্নয়ন ও সংশোধন আনে। একটি পুরনো ড্রাইভার বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যেমন ইন্টারনেটের সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়া , অপ্রত্যাশিতভাবে ধীরগতি হওয়া ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দেখতে না পারা। নিয়মিত ড্রাইভারের আপডেট করা সমস্যা এড়াতে এবং আপনার নেটওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স গেম মসৃণ ও নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে। এটির নতুন বৈশিষ্ট্য এবং পারফরম্যান্স অপটিমাইজেশন ও প্রদান করতে পারে।

আপডেট করার পদ্ধতিঃ
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে নেটওয়ার্ক এডপ্টারেড ড্রাইভার আপডেট করার একটি সহজ প্রক্রিয়া। করার প্রধানত দুইটি উপায় রয়েছে। প্রথম এবং সর্বশেষ উপায় হল উইন্ডোজ এর  ড্রাইভ ম্যানেজার ব্যবহার করা। ড্রাইভ ম্যানেজার-এ গিয়ে নেটওয়ার্ক অ্যাডপ্টার বিভাগটি প্রসারিত করে, আপনার সক্রিয় নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারটিতে রাইট-ক্লিক করে আপডেট ড্রাইভ বেছে নিতে হবে। এরপর সার্চ অটোমেটিকলি ফর দা ডিভাইস অপশনটি নির্বাচন করলে উইন্ডোজ নিজেই ইন্টারনেট থেকে সর্বশেষ ড্রাইভারটি খুঁজে ইন্সটল করার চেষ্টা করবে।
উইন্ডোজ টেন -এর -মোবাইল -হটস্পটটি -নিজে -নিজেই -বন্ধ -হয়ে -যায়
দ্বিতীয় এবং আরো নিশ্চিতকরণের উপায় হল সরাসরি ম্যানুফিউসার এর ওয়েবসাইট যেমনঃ: ডেল, হিপ লেইনবো, বা সরাসরি এন্টার এল এর সাইট) থেকে আপনার কম্পিউটার বা মাদারবোর্ড-এর মডেল অনুসারে সঠিক ও সর্বশেষ ড্রাইভারটি ডাউনলোড ও ম্যানুয়ালি ইনস্টল করা। এটি সাধারণত বেশি রিকমেন্ডেড, কারণ এটি ম্যানু ফিউচার-এর সর্বশেষ ড্রাইভ সরবরাহ করে।

ডিভাইস ম্যানেজারে পাওয়ার সেভিং মোড বন্ধ করুন

ডিভাইস ম্যানেজারের পাওয়ার সেভিং মোড বন্ধ করার বিষয়টি কম্পিউটারের পারফরম্যান্সের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। অনেক ব্যবহারকারী তাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সীমিত পারফরমেন্স নিয়ে নিশ্চিত থাকেন কিন্তু বিশেষ করে যখন ডিভাইসটি ধীরগতিতে কাজ করতে থাকে বা হঠাৎ করেই ফ্রিজ হয়ে যায়। এর পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে ডিভাইস ম্যানেজারের অবস্থিত পাওয়ার সেভিং মোড টি সক্রিয় থাকা। এই মোড টি মূলত ডিভাইসের শক্তি সাশ্রয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে , বিশেষ করে ল্যাপটপ ব্যাটারিচলিত যন্ত্রের জন্য। 

যখন এই ফিচারটি চালু থাকে, তখন এটি সিস্টেমের বিভিন্ন হার্ডওয়ার কম্পনেটের কার্যক্ষমতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সীমিত করে দেয় যাতে করে সর্বনিম্ন শক্তি খরচ হয়। এর ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যাওয়া, গেমিং বা গ্রাফিক্সের কাজে ব্যাঘাত ঘটা বা ভারী সফটওয়্যার চালাতে সমস্যা হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহারকারীদের ডিভাইস ম্যানেজার এ গিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সেটিং পরিবর্তন করতে হবে। প্রথমে কিবোর্ড উইন্ডোজ কি+এক্স চেপে ডিভাইস ম্যানেজার অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

সেখানে একটি তালিকা খুলে দেখবে সেখানে সকল হার্ডওয়ার ডিভাইসের নাম থাকবে। যে ডিভাইসটির পারফরম্যান্স বাড়ানোর প্রয়োজন, যেমন নেটওয়ার্ক এডাপ্টার গ্রাফিক্স বা ইউএসবি কন্ট্রোলার ইত্যাদি তে ডাবল ক্লিক করতে হবে। তারপর খুলে যাওয়া উইন্ডোতে Power Management ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। সেখানে উইন্ডোজ টেন এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়, নামের একটি অপশন চেকবক্স আকারে পাওয়া যাবে। এই বক্সটি আন চেক করে দিলেই ডিভাইসটি সর্বদা তার পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে সক্ষম হবে। 

পরিবর্তনটি সেভ করার পর সিস্টেমটি রিসেট দিলে নতুন সেটিং কার্যকর হবে। তবে এই সেটিং পরিবর্তন করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। পাওয়ার সেভিং মোড বন্ধ করে দেওয়া মানে হলো ডিভাইসটি এখন আগের চেয়ে বেশি শক্তি খরচ করবে । ল্যাপটপ ব্যবহার করলে এর ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইমকমে যেতে পারে। তাই ব্যবহারকারীর নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

যদি ব্যবহারকারী সর্বতাপ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করেন তাহলে পারফরম্যান্স অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে যুক্তিসাপেক্ষে। কিন্তু যদি তিনি প্রায় সব ব্যাটারির উপর নির্ভরশীল হন, তাহলে শক্তি সাশ্রয় এবং পারফরমেন্সের মধ্য একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে উত্তম। শেষ কথা হলো ডিভাইস ম্যানেজারের এই ছোট সেটিং টি কম্পিউটারের সামগ্রিক অভিজ্ঞতায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে, তাই একে উপেক্ষা না করে প্রয়োজন অনুসরণে কনফিগার করে নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ। 

 ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টারের কনফিগারেশন পরিবর্তন করুন

ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টারের কনফিগারেশন পরিবর্তন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা আপনার ইন্টারনেট সংযোগের গতি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তাকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে ওয়াইফাই সিগনাল দুর্বল হয়ে যায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় বা গতি পাওয়ার কমে যায়। সমস্যার সমাধান ওয়াইফাই এডাপ্টারের সেটিংস এ কিছু পরিমার্জন করার মাধ্যমে নিহিত থাকে। 
ডিভাইস ম্যানেজার থেকে শুরু করে নেটওয়ার্ক এডাপ্টার অপশন এর ভিতরে গিয়ে এই সমস্ত পরিবর্তন করা সম্ভব। 

প্রথম ধাপ হলো ডিভাইস ম্যানেজার খোলা। সেটি করতে কিবোর্ডে উইন্ডোজ লোগর কি এবং R কি একসাথে চেপেRun ডায়লগ বক্স আনুন। অথবা সরাসরি উইন্ডোজ সার্চ বাড়ে ড্রাইভ ম্যানেজার লিখে সেটি খুলতে পারেন। ডিভাইস ম্যানেজার উইন্ডোটি খুললে সেখানে নেটওয়ার্ক এডাপ্টারস নামে একটি বিভাগ দেখতে পাবেন। সেটির পাশে তির চিহ্নে ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারের ইন্সটল সমস্ত নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের একটি তালিকা চলে আসবে।

সেখান থেকে আপনার বর্তমান ওয়াইফাই এডাপ্টারটি নির্বাচন করুন। এই এডাপ্টার এর উপর ডাবল ক্লিক করুন। একটি নতুন উইন্ডোজ খুলবে। এখানে বিভিন্ন ট্যাব থাকবে, তার মধ্যে অ্যাডভান্স ট্যাব ক্লিক করুন। এই বিভাগটি এডাপ্টার নির্মিতার ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন হবে, কিন্তু এখানে আপনি যদি অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য পাবেন যা আপনি এডজাস্ট করতে পারেন।

 ব্যাটারি সেভার মোড চেক করুন

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করে যদি সবকিছু ধীরগতি হয়ে যায় , অ্যাপ্লিকেশন গুলো ঠিকমতো লোড না হয় ,কমে যায়, তাহলে যে আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি সেভার মোড টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে গেছে। এই মোড টি একটি খুবই উপকারী ফিসার  বিশেষ করে যখন আপনি বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই কাজ করছেন এবং আপনার ব্যাটারি চার্জ কমে থাকে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ডিভাইসের শক্তি খরচ কমানো যাতে ব্যাটারি চলে কিন্তু এই সাশ্রয়ের বিনিময়ে ডিভাইসটির পারফরম্যান্স অনেকটা কমিয়ে দেয়া হয়। 

প্রসেসর এর গতিধীর হয়ে যায়, ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস গুলো বন্ধ হয়ে যায় ও কমিয়ে দেওয়া হয় কাজের মত ভিন্ন ঘটতে পারে। তবে এই মুহূর্তটি বন্ধ করার আগে একটু ভাবা জরুরী । যদি আপনি কোন পাওয়ার সোর্সের কাছাকাছি না থাকেন এবং আপনার ব্যাটারির চার সত্যি কম হয় , তাহলে ব্যাটারি সেবার চালু রাখায় বুদ্ধিমানের কাজ। কয়েক ঘন্টা বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে, যা জরুরী কাজ শেষ করার জন্য যথেষ্ট সময় দেয়। কিন্তু আপনি যদি কোন কাজ করেন, যেমন ভিডিও এডিটিং বা গেম খেলা এবং আপনার ডিভাইসটি চেঞ্জারে কানেক্টেড থাকে , তাহলে ব্যাটারির সেবার বন্ধ রাখতে হয়। এটা আপনার নিজের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে।

নেটওয়ার্ক ডায়াগনস্টিক টুল চালান

ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা হলে আমরা বেশ অসহায় বোধ করি, বিশেষ করে যখন কাজ জরুরী থাকে। ওয়াইফাই দেখছেন কিন্তু কোন কাজ করছে না বা পেজ লোড হচ্ছে না এমন পরিস্থিতিতে নেটওয়ার্ক ডায়াগনস্টিক টুল টি আপনার প্রথম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহায়ক হতে পারে। এটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটি সুবিধা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যা গুলি সমাধানের চেষ্টা করে। এই টুলটি চালানো অন্তত সহজ। প্রথমে আপনার ট্যাক্স বারের ডান দিকে কোনায় থাকা নেটওয়ার্ক আইকনটিতে ক্লিক করুন।

তারপর নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট সেটিং অপশনটি নির্বাচন করুন। সেটিংস এর পেজ খুললে স্ট্যাটাস বিভাগে আপনি নেটওয়ার্ক সমাধানকারী নামে একটি লিংক পাবেন। সেটির উপর ক্লিক করলেই ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। টুলটি নিজে থেকেই বিভিন্ন সমস্যার জন্য স্ক্যান করা শুরু করবে। যেমন এটি পরীক্ষা করবে আপনার নেটওয়ার্ক এডাপ্টারটি সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, আইপি এড্রেস পাচ্ছে কিনা বা ইন্টারনেট সংযোগ স্টাবলি করতে পারছে কিনা। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সাধারণ সমস্যাগুলো ধরে ফেলে এবং আপনাকে ক্লিক করার মত একটি অপশন দেই যাতে সমস্যাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক হয়ে যায়। অনেক সময় এটি আপনাকে জানিয়ে দেবে সমস্যাটি ঠিক কোথায় আছে, যেমন হয়তো আপনার রাউটারটি কাজ করছে না বা নেটওয়ার্কের কনফিগারেশন ভুলে আছে। যদি এই টুলটি অনেক বড় ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারেনা তবুও এটি দ্রুত এবং প্রাথমিক সমস্যা দূর করার জন্য বেশ কার্যকর। 

করার উদ্দেশ্য হলো আপনার জন্য এটি সব কিছুই নিজে থেকে বের করে দেয়, আপনাকে জটিল সেটিং এর ভিতরে যেতে দেয় না। সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে এটি আপনাকে একটি রিপোর্ট দেখাবে যা বুঝতে সাহায্য করবে এবং সেটি কিভাবে ঠিক করা হয়েছে এই ব্যাপারটি আপনাকে দেখিয়ে দিবে। তাই ইন্টারনেট সমস্যা হলে  করার দরকার নেই, বরং শান্ত হয়ে এই ডায়াগনস্টিক টুলটি চালু করে দিন, দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে ।

 উইন্ডোজ পাওয়ার ট্রাবলশুটার ব্যবহার করুন

উইন্ডোজ কম্পিউটারে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে অনেকগুলো সরাসরি বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা বা পাওয়ার সেটিংস এর সাথে জড়িত। কম্পিউটার নিচ থেকেই ঘুমিয়ে পড়া, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা ব্যাটারির দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার মত অসংখ্য সমস্যার সমাধানের জন্য উইন্ডোজের ভিতরে থাকা একটি দারুণ টোল হলো পাওয়ার ট্রাভেল শুটার। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জামচা সিস্টেম স্ক্যান করে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সাধারণ ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করে। এই টুলটি ব্যবহার করা খুব সহজ। প্রথমে আপনাকে সেটিংয়ে যেতে হবে। 

সেটিং খোলার জন্য স্টার্ট মেনুতে  ক্লিক করে সেটিংস এর আইকনটি বেছে নিন, অথবা কিবোর্ডে উইন্ডোজ কি এবং আই একসাথে চাপুন। সেটিংস পেজ খুললে আপডেট ও সিকিউরিটি অপশনে ক্লিক করুন। এরপর বাম পাশের মেনু থেকে ট্রাভেল স্যুট বেছে নিন। সেখানে আপনি অতিরিক্ত ট্রাবলসটার বা অন্যান্য ট্রাবল সুতার নামের একটি অপশন পাবেন সেটিতে ক্লিক করুন। ওই তালিকায় আপনি পাওয়ার নামে একটি বিভাগ দেখতে পাবেন । এটির ওপর ক্লিক করে ট্রাভেল শুটার চালান বাটনের চাপ দিন। বাকি কাজটি তোল নিজেই করে নেবে। 

এটি আপনার কম্পিউটারে পাওয়ার প্ল্যান সেটিং ডিভাইসের জন্য পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট অপশন এবং আরো রিলেটেড সেটিং স্ক্যান করা শুরু করবে। যদি এটি কোন সমস্যা বা দ্বন্দ্ব খুঁজে পায়, তাহলে এটি আপনাকে একটি বর্ণনা সহ সমস্যাটি কথা জানাবে এবং সেটি ঠিক করার জন্য আপনার অনুমতি চাইবে। আপনি রাজি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করে ফেলবে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে এটি আপনাকে রিপোর্ট দেখাবে যে কোন সমস্যাগুলো পাওয়া গেছে এবং সেগুলো কিভাবে সমাধান করা হয়েছে।

অনেক সময় এটি কিছু পরামর্শ দিতে পারে যেমন আপনার পাওয়ার প্ল্যান বদলানোর সুপারিশ করতে পারে। এই টুলটি ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি জটিল হাতে করা সেটিংস না জেনেও যে কেউ সহজে ব্যবহার করতে পারে। তাই বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়লে সরাসরি কোন বিশেষজ্ঞের সাহায্যে নেওয়ার আগে একবার এই ট্রাবল সোটারটি চালিয়ে দেখতে পারেন হয়তো আপনার সমস্যাটি সমাধান করে দেবে এবং ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

উইন্ডোজ-কে পুরনো একটি বিল্ডে রিসেট করুন

উইন্ডোজ টেন-এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়,উইন্ডোজ কম্পিউটারের কাজ করার সময় এমন কিছু সমস্যাদেখা দিতে পারে যা সমাধান করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সফটওয়্যার  কনফ্লিক্ট, ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া বা সিস্টেম ফাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় উইন্ডোজ কে তার পুরনো একটি টেবল রিসেট করা কার্যকারী সমাধান হতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি আপনার কম্পিউটারকে আগের কোন নির্দিষ্ট সময়ে ফিরিয়ে নেয় যখন এটি ঠিকভাবে কাজ করছিল। 

এই কাজটি করার জন্য উইন্ডোজ একটি নির্মিত ফিচার আছে যার নাম সিস্টেম রেস্টোর। প্রথমে আপনাকে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে সিস্টেম রেস্টোর লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর সিস্টেম প্রোপার্টিজ থেকে সিস্টেম রেস্টোর অপশনটি খুলতে হবে। এখানে আপনাকে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।এরপর আপনাকে একটি তালিকা দেখাবে যেখানে বিভিন্ন রেস্টোর পয়েন্টের বিস্তারিত থাকবে। প্রতিটি রেস্টোর পয়েন্টের তারিখ এবং সময় দেখানো হবে। 

যে তারিখে আপনার কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করছিল সেই তারিখের একটি রেস্টোর পয়েন্ট বেছে নিতে হবে। আপনি অফেক্টেড প্রোগ্রাম স্ক্যান বাটনে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন যে এই রেস্টোর পয়েন্টটি নির্বাচন করলে গুলি অপসারণ বা পরিবর্তন হতে পারে।সঠিক রেস্টোর পয়েন্ট নির্বাচন করার পর নেক্সট এবং তারপর ফিনিশ বাটনে ক্লিক করতে হবে। কম্পিউটারটি রিবুট হবে এবং রেস্টোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছু সময় লাগতে পারে এবং কম্পিউটারটি একবারের রিবুট করতে পারে।
মনে রাখা যে এই প্রক্রিয়ায় আপনার ব্যক্তিগত ফাইল যেমন ছবি, ডকুমেন্ট বা ভিডিও হবে না, শুধু সিস্টেমের সেটিংস এবং ইন্সটল করা সফটওয়্যারগুলিতে পরিবর্তন আসবে।রেস্টোর সম্পন্ন হওয়ার পর কম্পিউটারটি আগের তারিখের অবস্থায় ফিরে যাবে। যদি সমস্যা সমাধান হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে যে সমস্যাটি কোনো পরিবর্তনের কারণে হয়েছিল। এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনি অনেক জটিল সফটওয়্যার সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারবেন without losing your important personal files.

কোন সমাধান কাজ না করলে কী করবেন?

কম্পিউটার যখন কোনো সমস্যায় পড়ে এবং প্রচলিত সব সমাধান করার পরও যদি তা কাজ না করে, তখন ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার কিছু কৌশলী ও ধৈর্য্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আতঙ্কিত না হয়ে থাকা। সমস্যাটি কখন, কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে তা মনে করার চেষ্টা করুন। সমস্যাটি কি হঠাৎ করেই  নাকি কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করার পর থেকে শুরু হয়েছে? এটি বোঝার চেষ্টা করুন সমস্যাটি হার্ডওয়্যার নাকি সফটওয়্যার সংক্রান্ত।

উইন্ডোজ টেন-এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়।যদি উইন্ডোজ ব্যবহার করেন, তাহলে সেফ মোডে করার চেষ্টা করুন। সেফ মোডে কম্পিউটার শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় সফটওয়্যার লোড করে, যা অনেক সময় বা ড্রাইভার সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। সেফ মোডে প্রবেশ করার জন্য কম্পিউটার চালু করার সময় কী টিপুন, তারপর এডভান্সড বুট অপশন থেকে সেফ মোড নির্বাচন করুন।সেফ মোডে প্রবেশ করতে পারলে, আপনি দুইটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, ইনস্টল করা সফটওয়্যার আনইনস্টল করুন। দ্বিতীয়ত, ডিভাইস ম্যানেজার থেকে রিসেন্টলি অ্যাড হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার রোল ব্যাক বা আনইনস্টল করার করুন।

অনেক সময় নতু করা হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারই সমস্যার হয়ে থাকে।যদি সেফ মোডেও সমস্যা persists, তাহলে সিস্টেম রিস্টোর করার কথা বিবেচনা করুন। উইন্ডোজের সিস্টেম রিস্টোর ফিচার আপনার কম্পিউটারকে আগের কোনো করা অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে খেয়াল রাখুন, এই প্রক্রিয়ায় আপনার ব্যক্তিগত ফাইল যেমন ডকুমেন্ট, ছবি বা ভিডিও হবে না, শুধুমাত্র সিস্টেম ফাইল এবং ইনস্টল করা সফটওয়্যারগুলিতে পরিবর্তন আসবে।

যদি সবকিছু করে, শেষ উপায় হিসেবে উইন্ডোজ পুনরায় ইনস্টল করার ডিসিশন নিতে পারেন। তবে তার আগে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ করে নেওয়া অত্যাবশ্যক। আপনি চাইলে গুডস্টোর, এক্সট্রিম এল হাইড্রাইভ বা পেনড্রাইভ ব্যবহার করে আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো স্থানে সংরক্ষণ করতে পারেন।অনলাইনে বিভিন্ন টেক এবং ফোরামে আপনার সমস্যাটির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে চাওয়া another effective পদ্ধতি। অনেক সময় দেখা যায় একই সমস্যা অন্য হয়েছে এবং তারা এর সমাধান খুঁজে পেয়েছেন।

আপনার কম্পিউটারের মডেল অপারেটিং সিস্টেম সংস্করণ এবং সমস্যার বিস্তারিত ডেসক্রিপশন  লিখে সার্চ করুন। যদি হার্ডওয়্যার রিলেটেড হয়, যেমন পাওয়ার সাপ্লায় মাদারবোর্ড বা RAM-এর সমস্যা, একজন দক্ষ প্রযুক্তিবিদের সাহায্য নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তারা পেশাদার ডায়াগনস্টিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে সমস্যার সঠিক রিবোর্ড ক্লোজ চিহ্নিত করতে পারবেন এবং স্থায়ী সমাধান দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, কোনো প্রযুক্তিগত সমস্যাই চিরস্থায়ী নয়। ধৈর্য্য সহকারে এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে অবশ্যই এর সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

কীভাবে ভবিষ্যতে এই সমস্যা এড়িয়ে চলবেন?

ভবিষ্যতে কম্পিউটারের সমস্যা এড়াতে কিছু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই জরুরি।  উইন্ডোজ টেন এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায় ।প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়ার ওপর। আপনার সকল গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, কাগজপত্র এবং ছবি নিয়মিতভাবে একটি বাহ্যিক সংরক্ষণ মাধ্যম যেমন হার্ড ডিস্ক বা ক্লাউড জমা রাখুন। সপ্তাহে অন্তত একবার এই কাজটি করলে যেকোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যায় আপনার তথ্য নষ্ট হওয়ার ভয় অনেকটা কমে যাবে।সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের আপডেটগুলো সময়মতো বসানো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে দেখা দেওয়া দুর্বলতা সারানোর জন্য নিয়মিত আপডেট বের করে।আপডেট না বসালে আপনার সিস্টেম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়তে পারে এবং নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। তাই উইন্ডোজ আপডেট প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের আপডেটগুলি নিজে থেকেই বসানোর ব্যবস্থা করুন।নতুন সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং বসানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। শুধুমাত্র বিশ্বস্ত জায়গা থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন এবং বসানোর আগে সবসময় ব্যবহারকারীদের মন্তব্য এবং পর্যালোচনা পড়ে নিন।
উইন্ডোজ টেন -এর -মোবাইল -হটস্পটটি -নিজে -নিজেই -বন্ধ -হয়ে -যায়
অচেনা ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা থেকে দূরে থাকুন, কারণ এগুলো প্রায়ই ক্ষতিকর সফটওয়্যার এবং আনওয়ান্টেড প্রোগ্রাম নিয়ে আসে যা আপনার সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে।একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম বসান এবং তাকে নিয়মিত আপডেট করুন। প্রতিদিন অন্তত একবার পুরো সিস্টেম স্ক্যান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস, ক্ষতিকর সফটওয়্যার এবং অন্যান্য অপকারী জিনিস থেকে রক্ষা করবে। একই সাথে ,অস্বাভাবিক ইমেইল সংযুক্তি এবং অচেনা লিঙ্কে ক্লিক করা এড়িয়ে চলুন ,কারণ এগুলো প্রায়ই ক্ষতিকর সফটওয়্যার বসানোর জন্য ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কম্পিউটারের ভিতরের অংশের যত্ন নেওয়াও কয়েক মাস一কম্পিউটারের আবরণ খুলে ভিতরে জমে থাকা ধুলো পরিষ্কার করুন,কারণ বেশি ধুলো জমে গেলে সিস্টেম অতিরিক্ত গরম হতে পারে এবং হার্ডওয়ার ক্ষতি হতে পারে নিশ্চিত করুন যে কম্পিউটারের পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে শক্ত সমতল জায়গায় রাখুন যাতে বাতাস চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটে।সিস্টেমের কর্মক্ষমতা করুন। যদি কম্পিউটার হঠাৎ করে ধীরগতি হয়ে যায় বা আচরণ করতে শুরু করে,খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

সমস্যা ছোট থাকতেই সমাধান করার চেষ্টা করুন,কারণ উপেক্ষা করলে বড় আকার ধারণ করতে পারে। নিয়মিত ডিস্ক পরিষ্কার এবং ডিফ্র্যাগমেন্টেশন টুল ব্যবহার করুন যাতে তার সেরাতে থাকে একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা তৈরি করুন, একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সিস্টেম রেস্টর পয়েন্ট তৈরি করুন, বিশেষ করে কোনো বড় সফটওয়্যার বসানোর আগে বা বড় কোনো সিস্টেম পরিবর্তনের আগে। এতে করে সমস্যা রেস্টার করতে পারবেন।এই সাধারণ সতর্কতা এবং অভ্যাসগুলো মেনে চললে একটি সুস্থ করতে পারবেন। সচেতনতা এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণই হলো সমস্যা এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।

উইন্ডোজ টেন-এর মোবাইল হটস্পটটি নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যায়-শেষ কথা

উইন্ডোজ টেন অপারেটিং সিস্টেমে মোবাইল হটস্পট একটি অত্যন্ত উপযোগী বৈশিষ্ট্য, যা আপনার কম্পিউটারকে একটি ওয়াইফাই রাউটারে পরিণত করতে পারে। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করার সময় অনেক ব্যবহারকারী একটি সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হন: হটস্পটটি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যাটির পেছনে কারণ থাকতে পারে, এবং সেগুলি করা এবং সমাধান করা।শক্তি সঞ্চয় সেটিংস করুন। উইন্ডোজ ডিফল্টভাবে শক্তি সাশ্রয়ের জন্য ডিভাইসগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে।

ডিভাইস ম্যানেজারে আপনার নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারটি সনাক্ত করুন, এর বৈশিষ্ট্যগুলিতে যান এবং পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ট্যাব থেকে কম্পিউটারকে শক্তি সাশ্রয়ের জন্য এই ডিভাইসটি বন্ধ করার অনুমতি দিন বিকল্পটি নির্বাচন করুন। এই পরিবর্তনটি সমস্যা সমাধান করে।নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারের ড্রাইভার আপডেট করুন। পুরানো ড্রাইভারগুলি হটস্পট স্থিরতার একটি সাধারণ। ডিভাইস ম্যানেজারে আপনার নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারে ডান-ক্লিক করুন এবং ড্রাইভার আপডেট করুন নির্বাচন করুন।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেটড ড্রাইভার সন্ধানের জন্য বিকল্পটি করুন। যদি এটি কাজ না করে,ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভার ডাউনলোড করে করুন।নেটওয়ার্ক রিসেট সম্পাদন করুন। উইন্ডোজ সেটিংসে নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট বিভাগে যান, নেটওয়ার্ক রিসেট  বিকল্পটি সনাক্ত করুন এবং এখনই রিসেট ক্লিক করুন। এটি আপনার সমস্ত নেটওয়ার্ক পুনরায় ইনস্টল করবে এবং মৌলিক সেটিংসে ফিরিয়ে দেবে। এই প্রক্রিয়াটির পরে আপনার কম্পিউটার পুনরায় চালু করার প্রয়োজন হবে।

সফ্টওয়্যার করুন। অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম,ফায়ারওয়াল, বা নেটওয়ার্ক অপ্টিমাইজেশন টুলগুলি নেটওয়ার্ক সংযোগে হস্তক্ষেপ করে। আপনার অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার নিষ্ক্রিয় করুন বা হটস্পট বৈশিষ্ট্যটিকে এর সাদা তালিকাভূক্ত যুক্ত করুন দেখুন সমস্যা সমাধান হয়।ঞ্উইন্ডোজ প্ল্যান সেটিং করুন। পাওয়ার গিয়ে উন্নত শক্তি সেটিংস পরিবর্তন করুন করুন ।অ্যাডাপ্টার সেটিংস এবং পাওয়ার সেভিং মোড সনাক্ত করুন।

নিশ্চিত করুন যে এটি সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স এ সেট করা আছে।যদি উপরের সমাধানগুলি কাজ না করে, শেষ উপায় হিসাবে উইন্ডোজের ফাইল পরীক্ষা করুন। কমান্ড প্রম্পট হিসাবে খুলুন এবং এসএফসি /স্ক্যাননো টাইপ করুন। এটি ফাইলগুলি সনাক্ত করবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলি করার চেষ্টা করবে।মনে রাখবেন, এই সমস্যাটির সমাধান করার ধৈর্য এবং ধারাবাহিকতা। একবারে একটি সমাধান করুন এবং পরীক্ষা করুন যে এটি কাজ করে কিনা।ক্ষেত্রে, এবং নির্ভরযোগ্য হটস্পট সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হব

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সফটনড়িতে নীতিমালা ; মেনে ;কমেন্ট করুন ;প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়;

comment url